লেখালেখির জগতে পুরাতন পদ্ধতি হচ্ছে একটু প্যাচিয়ে নেওয়া, যেমন ধরুন এই লেখার শিরোনাম কি আর শুরুটা করেছি কি দিয়ে তেমনই প্যাচাপেচী আরকি! আসল কথা বলার আগে খানিকটা ভূমিকা যুক্তির খাতিরে সেটা বলা যায়। লেখালেখিতে খালি বর্ণণা থাকলে হয় না - "খুব রোদ উঠেছে" এমন বললে খুব বেশী শ্রুতিমাধুর্যতাও আসে না , "রবির কিরণে চমকে ঝলকে যাচ্ছে চার পাশ" বেশ একটু লেখক লেখক হয় আরকি। তো নিজে তো লিখি - যদিও বোদ্ধা ও বন্ধু মহলে যথেষ্ট কদর কম আছে আমার (আসলে নাই) প্যাচাপেচির অভাবে মানে লেখার অভিনয়ের প্রভাব যথেষ্ট কম থাকাতে।
আসল কথাতে আসি, আসলে একজন অভিনেতাকে আমি দ্যাখি একজন বিনোদনদাতা হিসাবে যে কিনা পয়সার বিনিময়ে এই কাজটা করে থাকে। আমি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই বিনোদনের ক্রেতা। এই বিনোদনগুলো সভ্যতার বিকাশের সাথে সৃষ্টি হয়েছে বিনোদনের প্রয়োজনে, যোগাযোগের প্রয়োজনে ও রাজনিতীর প্রয়োজনে। আমাদের এখানে পথনাটক একাধারে যোগাযোগ ও সচেতনতা তৈরীর মাধ্যম হিসাবে কাজ করে আবার রাজনিতীরো অনুষঙ্গ হিসাবে কাজ করে তবে এর কুশীলবের অবস্থান কিন্তু পয়সার বিনিময়ে বা অন্য কোন লাভের আশায় বিনোদন দাতা দাত্রী ভিন্ন কিছু না। নাটক সিনেমা গান ইত্যাদি মাধ্যম তার বক্তব্যের মাধ্যমে কোন মতবাদ বা বাদের কথা বললেও এর অভিনেতারা সেই পথের বা মতের হবে এমন ভাবাটা সঠিক নয়। আমার চোখে এরা বিনোদন দাতা। রাজনিতীজীবিদের লোকসমাগমের একটা টুলস বা উপকরণ।
এখনকার বস্তাপচা মিডিয়ার যুগে গায়ক অভিনেতাকে বিনোদনদাতা থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা বেপক । নানান কাজে তাদের ডাকা হচ্ছে মিডিয়াতে ও প্রচার করা হচ্ছে প্রচুর যা আমার চোখে স্টান্টবাজী। গান সিনেমা দেখে শুনে মানুষ আসলে কোন কাজ করে না, কাজ করে আসলে কাজের ফলেই, প্রয়োজনমনে করলে তবে কিন্তু মিডিয়ার সহযোগীতায় আপনার মনে হতে পারে গান টান না হলে বোধহয় আমরা স্বাধীনতাটাই পেতাম না ! যার ফলাফল রণাঙ্গণের বীরদের হারিয়ে যাওয়া প্রচারের আলোথেকে।
এসব অভিনেতা, রুপসী, গায়ক বিনোদনকর্মী, টাকা পয়সা ওয়ালাও বেশ এর বেশী কিছু না - এর বেশী কিছু বানানো হয় বাণিজ্যটা চালু রাখতে, সুরভিত চামড়া ও কড়কড়ে কাগজ অনেকের কাছে সবকিছু যে।
এলোমেলো লেখাই লিখলাম একটু - দরকার কি অভিনেতাদের মতো নিপুণ হবার?