ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

পাঠ্যপুস্তকে একীভূত ধর্মীয় শিক্ষা


একটি বিষয়ের গভীরে যাবার জন্য যে মৌলিক তথ্যাবলীর প্রয়োজন আছে সেগুলিকে বিবেচনায় রেখেই প্রণীত হয় শ্রেণি অনুযায়ী টেক্সট-বুক কার্যক্রমের অধীন পুস্তকসমূহ। একমাত্র ধর্মীয় পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্য কোন পাঠ্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ধর্মকে বিবেচনায় রাখা হয় না, সার্বিক ও সার্বজনীনতার বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখা হয়।

যেমন- জীববিজ্ঞান বলতে জীববিজ্ঞানই বোঝানো হয়; এখানে হিন্দু জীববিজ্ঞান, মুসলিম জীববিজ্ঞান, খ্রিস্টান জীববিজ্ঞান, বৌদ্ধ জীববিজ্ঞান, জৈন জীববিজ্ঞান ইত্যাদি কোন বিভাজন করা হয় না। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও তাই- হিন্দু বাংলা, মুসলিম বাংলা, খ্রিস্টান বাংলা বলে কোন বাংলা পুস্তক বা অন্যান্য বিষয়ের পুস্তকও প্রণীত হয় না।

প্রতিটি ধর্মেরই মৌলিক শিক্ষাই যদি মানবিক শিক্ষা হয়, সামাজিক শিক্ষা হয়, নৈতিক শিক্ষা হয়- তাহলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ধর্ম বিষয়ক পুস্তকে সকল ধর্মের সেই সামাজিক, মানবিক ও নৈতিক বিষয়গুলি থাকা উচিৎ।

প্রতিটি শিশুই সকল ধর্মের সুন্দর মৌলিক বিষয়গুলি সম্পর্কে জানবে। প্রতিটি ধর্মের যে মানবহিতৈষী বিষয়গুলি আছে সেগুলি সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীই অবগত হবে। বিভিন্ন ধর্মের মনিষীগণ সম্পর্কে তাদের মধ্যে গভীর শ্রদ্ধাবোধ জাগরিত হবে। মানবতার জন্য ঐ সকল মনিষীদের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা জেনে তাদের প্রতি শিক্ষর্থীদের মানবিক শ্রদ্ধা জাগবে।

বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে নিবিড় মানবিক সম্পর্ক আছে সেগুলি সম্পর্কে প্রতিটি শিক্ষার্থীই প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করবে। শিশু বয়স থেকেই সকল ধর্মের অনুসারী শিক্ষার্থীদের মধ্যেই পরস্পরের ধর্মের প্রতি পরস্পরের সহানুভূতির জন্ম হয়, তেমন বিষয়গুলি ধর্ম বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কোন ধর্মের মধ্যেই মানবিক, সামাজিক ও নৈতিক বিষয়ের অভাব নেই।

একটি ধর্মের অনুসরণকারীদের প্রতি অন্য ধর্মের অনুসরণকারীদের যে দায়িত্ব, কর্তব্য, সহনশীলতা, মানবিকতা ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে, সে সম্পর্কিত বিষয়গুলি ধর্মবিষয়ক পাঠ্যপুস্তকে সংযোজিত হবে। শিশুদের নৈতিকতার ভিত্তিকে শক্ত করার যে ধর্মীয় ভিত্তি, সকল ধর্মের সে সকল নৈতিক বিষয়গুলির সমন্বয়ে তৈরি করতে হবে পাঠ্যপুস্তকের ধর্ম সংক্রান্ত পুস্তক। নির্দিষ্ট ধর্ম বিষয়ে কেউ যদি বেশি জানতে চায় তবে সে জন্য উচ্চতর পর্যাযে গিয়ে জানতে পারে বা ধর্মীয় শিক্ষালয় থেকে জানতে পারে কিন্তু স্কুল পর্যায়ে ধর্মগ্রন্থ একীভূত হওয়াই কাম্য।

ধর্ম বিষয়ক হানাহানীতে ভরে যাচ্ছে দেশ, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নীতিহীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে দীর্ঘমেয়াদী পরিত্রাণের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সকল ধর্মের সমন্বয়ে ধর্ম-বিষয়ক সহনশীলতা তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়াও একটা নৈতিক শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে শিশুদের নৈতিক ভিত্তিও সৃদৃঢ় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি যে দীর্ঘমেয়াদে সুফল দেবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি বিষয়টিকে একটু গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখবেন?
*
লেখাটি ফেসবুকে প্রকাশিত

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ যুক্তিযুক্ত তারিখঃ 21/10/2018
সর্বমোট 4468 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন