খবর:
একটি মাত্র কাব্যগ্রন্থ নিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা কবি হেলাল হাফিজ ৩৪ বছর প্রকাশ করলেন নিজের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। ৩৪টি কবিতা নিয়ে এই দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হলো। নতুন বই প্রসঙ্গে হেলাল হাফিজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই বই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তির ফসল। প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মাঝেই মনের কোণে উঁকি দিয়েছে কবিতার নানা লাইন। সেগুলো অণু কবিতা হিসেবে লিখে ফেলেছি।’
অন্তত দুইশ’ কবিতা থেকে বাছাই করে শেষাবধি ৩৪টি কবিতা দিয়ে এই বইয়ের পান্ডুলিপি তৈরি করা হয়েছে। বাকি কবিতাগুলো আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা নেই। বইটির প্রকাশক দিব্য প্রকাশ। এর প্রচ্ছদ এবং পাতায় পাতায় অলঙ্করণ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।
আজকের এই লেখার কারণ হলো বইটি নিয়ে তেমন কোন লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নজরে আসেনি। উনার প্রথম বইটি নিয়ে যে উচ্ছাস তা এখানে একদমই অনুপস্থিত। আমার উনাকে ভালো লাগে ও লেখাও ভালো লাগে। অকপট শব্দ উচ্চারণের একটা অসাধারণ ক্ষমতা আছে কবির। এই দৌড়ের শহর জীবনে উনি ব্যতিক্রম। বইটির লেখা এখোনো হাতে পাইনি তবে ইচ্ছা আছে আমার নিজের সংগ্রহে রাখবার। যদিও বই রিভিউ বা আলোচনা করিনা তবে এইবার এটা করবো, তেমন ইচ্ছাও রাখি।
ঢাকাতে আমি আগে যেখানে থাকতাম তার কুব কাছেই উনি থাকতেন। আমি জানতাম, তবুও দেখা করিনি সুযোগ থাকার পরও। এটাকে বলতে পারেন একধরণের দুরে থাকা। এর সঙ্গত কারণও আছে, আশা বা মোহ ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে সবসময়ই, সে ঝুকি আমি নিতে চাইনি। কবির প্রতি আমার এক মোহ আছে, সেটাকে আমি জিইয়ে রাখতে চাই কল্পনার জমিতে।
বইয়ের প্রচারের কাজটা করলাম এই ক্ষুদ্র লেখাতে। সেটাও ভালোবাসা থেকেই। কবির মতো আমারও আলস্য প্রবল, বড় লেখা লেখবার সামর্থ আছে বা নাই আমার তার থেকেও বড় কথা আমার আলস্য আছে যথেষ্ট। তবুও আবার ভালোবাসা রইলো কবি হেলাল হাফিজের প্রতি। ভালো থাকুন কবি, আমার যৌবনের স্বপ্নবিলাসীতার আকাশ।