ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

ভিক্ষার কর্পোরেট রূপ

আমরা নতুন একটা যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, একটু অভিনভই বলতে হবে, স্টার্টআপ বিজনেস হিসাবে এই মাইক্রোকর্পোরেশন গুলো একসময় মহিরুহ হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায় তবে আগের এনজিওর দারিদ্রতা মোচনের মতোই একপ্রকার পেশাজীবীর বিবর্তনমুলক উথ্থান ও কুম্ভিরাশ্রু ছাড়া আর কিছু  হবেনা। অন্যরা যখন লিখে তখন সাধারণত লেখার শুরুতে সারকথাটা বলে বা বলার মতো কিছু থাকেনা, আমি সবসময় চেষ্টা করি লেখার প্রথমে সারটা বলার জন্য, কারো আগ্রহ থাকলে বাকীটা পড়বে, আমি পাঠককে বুদ্ধিমান ভাবি, তাই ভাবনার জায়গা রেখেই লিখি। এই লেখাতেও এর ব্যতীক্রম নেই, সার কথা বলা হয়ে গ্যাছে - নীচে একটু আলোকপাত করবো সারের উপর। 

একটু চোখ কান খোলা রাখলেই দেখবেন আমাদের চারপাশে অন্যায়, অনিয়ম, বিচারহিনতা বাড়বার সাথে সাথে বাড়ছে মানবিকতার আড়ম্বর। বেশ কজন ব্যক্তিপর্যায়ে এটাকেই পেশা হিসাবে নিয়েছে এবং এরা প্রায় সবাই অলটাইম ক্ষমতাসীনদের পাচাটা হয়ে টাকার বিনিময়ে প্রচারকের দায়িত্ব নিয়েছে। কোন মাণনীয় ত্রাণ দিবে, সেখানে দেখবেন সে হাজির, কোন মাণণীয় লাইনে সে ছবি পেয়ে গ্যাছে তার! কাকতালীয় এই বিষয়গুলো বেশ মজাদার, মানুষ এসব খায়, তালি হয় তাই এসব করতে ইনভেষ্ট করাই যায়, শত হলেও প্রচারেই পসার। এই মানবিক পেশাদারিত্বের সাথে সাথে ফাউন্ডেশনের ছড়াছড়ি! নানান ইভেন্ট ও রিতিমতো পয়সা খরচ করে টাকা কালেকশনের জন্য বিজ্ঞাপণ চলছে। 

এই অর্গানাইজড ও প্রাতিষ্ঠানিক টাকা কালেকশনকেই আমি বলছি কর্পোরেট ভিক্ষা। এরা এই ভিক্ষা থেকে বিজনেস করছে, পেট চালাচ্ছে ও ভিক্ষুকদের একটা শেয়ার দিচ্ছে। আমার সাথে অনেকেই দ্বিমত থেকে শুরু করে হাজার মত করবে, বলে বসতে পারে আরে ব্যাটা তুমি করে দেখাও তো! নিজে তো ঘরে বসে লেকচার দেও! জ্বী ভাই দেই, লেকচারই দেই এর বেশী কিছু করিনা। ভিক্ষার টাকা তুলি না, সেটা দিয়ে কর্মসংস্থান করার বাহাদুরী করিনা, মানবতা প্রচারও করিনা, ধর্মীয় সুরসুরিও দেই না, ধর্ম পালন করবার দান টানেও চোখ দেই না, এতো এতো মহান কাজের পরও আমার সামনে যে ভিক্ষুক হাত পাতে সাধ্যমতো তাকে দেই। 

এই মাইক্রো কর্পোরেট স্টার্টআপগুলো আগামীতে বড় হবে, টাকা কথা বলে, এখানেও তাই হবে। বিজ্ঞাপণ, জমির উপর অধিকার সহ নানান ঘটনা ঘটবে, তবে প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাড়াবে সেটাও এই মানবতার বাণিজ্য করেই- তবে রাস্তায় ভিক্ষুক কমবে না, গরীব কমবে না, ৭ দিন কাজ বন্ধ করবার পর হায় হায় রব উঠা বন্ধ হবে না। কর্পোরেট ভিক্ষা বাড়বে, এনজিওর গরীব হটানোর বিষয়টা খাচ্ছেনা আর তাই নতুন এই কাজ, এর পিছনে রাজনৈতিক একটা ফ্লেভারও আছে, সে আলোচনা আরেকদিন হবে। আপাতত ভিক্ষার কর্পোরেট আয়োজন উপভোগ করেন, আগামীতে এদের সম্পদ আজকের বড় এনজিওগুলোর মতোই হবে, তবে গরীব কমবে না, যেমন করে না খেয়ে থাকা মানুষও এ দ্বারা কমবে না। দেখেন ও ভাবেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন। 

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ দুরন্ত.. তারিখঃ 25/05/2020
সর্বমোট 3591 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন