আমাদের এই পৃথিবিকে একটা বৃহৎ জাতি হিসেবে ভাবা সম্ভব। যুগের ওযে বয়স থাকতে পারে, তা-নিয়ে আর কয়জন'ই বা ভাবেছেন ?
– যেজন নতুন, সে তো শুরুতেই স্বজন-বিভাজনের; ভাজে আক্রান্ত – পারিপার্শ্বিকতার নামে, সমাজ ব্যেবস্থা তাকে ঘিরে রাখে আমাদেরই রীতিতে।
উদাসীনতার দাস হয়ে থাকেন কেবল - নীতি দাদা। কথা গুলো স্বাধীনতা হারায় ঐ বাক-শ্বাধিনতা নামক ধর্মে।
ভুলে যায় কর্ম ধর্মের ফল ~ পাবেন সবাই।
তুমি আর আমি একসাথে থাকলেই আমরা হই, তার পরেও আমরা ভুলে থাকি এই ‘আমরা’ কারা।
কেন ভুলে থাকি রাত আর দিনের পার্থক্য ...
এই ছায়ার বিষয়'টা ও ভয়ংকর কিন্তু সেও যে কম সুন্দর নয়।
যেমন, সূর্যের আলো - যখন, সামনে থেকে দেখলে আমাফের ছায়ার সঙ্গী আপনি সহ চার ভাগের এক ভাগ– আবার, যখন পেছন থেকে দেখলে পরে, ছায়ার মত তোমার ওই এক সঙ্গী, ভাবলেন এই 'এক' কি জোড়া না কি।
কিন্তুসে এই তুমি তো একা।
মনে পরে কি, আলো না থাকলে কি করেইবা -- ঐ আঁধারের দেখা মিলতো – তাই না।
গাছ তো নড়ে না বা চড়েও না, লোকে কেটে ফেলে দিলে বা পোড়ালে বৃক্ষ বলেনও না, তিনি, আড়ালে হয়তো কাঁদেন! তাতে কার কী ...........
গাছের পরিবার কিন্তু ঠিকই বড় – মা, মাটি বা মানুষও তো বাঁচে গাছের শেকড়ের জ্বালে – ছলে, বলে, কৌশলের প্রতিটি প্রযুক্ত প্রযুক্তি কি আমাদের সময়ে অ-সময়ে ; - নগর থেকে নগরায়ন, যুগ থেকে যুগান্তর, মাঠ থেকে তেপান্তরের গ্রামবঙলা, আর এই দেশ থেকে দেশান্তর ইত্যাদি অবান্তর ভাবনা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই।
আমাদের অবস্থানের উপর আমরা বিশাল ভাবে নির্ভর করে বাঁচি বাঁচার দাবিতে কিংবা তাগিদে ।
যার সব আছে, এমন আসলে কি কেউ নেই তবে ।
আমাদের চাহিদার শেষ নেই দেখেই তো আমদের যোগান নিয়ে ভাবতে হয় – বয়সের বিভিন্ন ধাপে আমরা আর সেটাকে মায়া-মমতা, দাবি, দায়িত্ব বা ভালবাসা ইত্যাদি নামে যোগার করে ভাল বাসার ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করার চেষ্টায় স্বচেষ্ট থাকি বৈ কি।
ভিক্ষুক চোখে না দেখলেই বলেন, 'আমি যা দেখি তা তোমরা দেখো না' – জন্মান্ধ হলেই তার আলোর নাম হয়তো ভিন্নতর - আর, আলো ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু হতে পারে না, তা-না।
আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকে নিশ্বাসের বিশ্বাসে আশ্বাসের উচ্ছাসের টুকে রাখা স্মৃতিপটে – শব্দের কলকাকলিতে, থাকে, আবেগের আবহ অনুভূতির আবেশে ফিরে আশা সাথে ভরশার সংযম।
আমি ঘটা করে বলতে পারি - এই আলোর ছায়া ঢেকে রাখে মনে - যা, দূরে রাখে টুকে রাখা খেয়ালের তারাঘেরা বর্নীল আকাশ - কল্পনার প্রেক্ষাগৃহ।