ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

অডিও সিস্টেম

গান শুনবার জন্য আমরা যে যন্ত্র ব্যবহার করি তাই আসলে অডিও সিস্টেম। একটি ব্যাসিক অডিও সিস্টেমে নীচের জিনিস গুলো থাকে 

১. শব্দ গ্রহণের জন্য একটি মাধ্যম - ইনপুট জ্যাক, বিভিন্নধরনের মেমোরীকার্ড স্লট, ব্লুটুথ 

২. এমপ্লিফায়ার বা শব্দকে বিবর্ধনের যন্ত্র

৩. শব্দকে আমাদের কানের শুনবার উপযোগী করবার জন্য ড্রাইভার বা স্পীকার

৪. সম্পূর্ণ সার্কিটে শক্তি সরবরাহের জন্য পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবস্থা

৫. একটি বাক্স যা সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটিকে ধারণ করে

এই ব্যবস্থায় যখন একটি চ্যানেলে শব্দকে বিবর্ধিত করা হয় তখন তা মনো সিস্টেম, যখন দুইটি চ্যানেলে শব্দকে বিবর্ধিত করা হয় তখন তা স্টেরিও সিস্টেম। বর্তমানে নিখুত ও শব্দের মান বাড়াতে ৪:১, ৫:১, ৭:১, ৫:২, ৭:২, ১০:১ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। : এর পরের সংখ্যাটি এর সাথে যুক্ত সাবউফারের সংখ্যা নির্দেশ করে। :১ মানে একটি সাব উফার, :২ মানে দুইটি সাব উফার। 

সাব উফার হলো মুলত একটি এমপ্লিফায়ার যাতে শুধুমাত্র ৩০ থেকে ২৫০ বা ৫০০ হার্টজ পর্যন্ত শব্দকে বিবর্ধিত করা হয়। কম্পিউটারের সাথে ব্যবহার করা বড় একটি এবং ছোট দুইটি স্পীকারের মধ্যে বড়টি সাব উফার আর ছোট দুইটি স্যাটেলাইট স্পীকার। হোম থিয়েটার বা সিনেপ্লক্স সিনেমাহলে ৫:১ বা তদুর্ধ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। যাতে পিছনের স্যাটেলাইটগুলো বিশেষ ভাবে প্রোগ্রামকরা ব্যবস্থার মধ্যে সঠিকভাবে শব্দপুনরুৎপাদন করতে পারে। 

এর পাশাপাশি আমরা হাইফাই নামক একটা শব্দ দেখতে পাই বিভিন্ন এমপ্লিফায়ারের গায়ে। এই হাইফাই এর বিশেষ মানে আছে যদিও বাজে মানের সিস্টমেও কথাটা অহরহ লিখা থাকে। হাই ফাই মানে হলো কোন এমপ্লিফায়ারের ইনপুটে ১ কিলোহার্জ মানের সিগন্যাল দেওয়ার পর যদি এর আউটপুটে ০.১% এর কম ডিস্টরশন হয় তবে তা হাইফাই সিস্টেম। ডিস্টরশন হলো ইনপুটে যা দেওয়া হলো আউটপুটে বিবর্ধিত হতে গিয়ে তার বিচ্যুতির মাত্রা। সাধারণত দামী ও সঠিক প্রকৌশল ব্যবহার করে তৈরী করা অডিও সিস্টেম হাইফাই মানের হয়। একটি প্রকৃত হাইফাই মানের সাউন্ড সিস্টেম বা অডিও সিস্টেম তৈরী করতে শ্রম এবং অধ্যাবসায় প্রয়োজন সেই সাথে প্রচন্ড ধৈর্য্য আর কাজ করবার দক্ষতা। 

একটি অডিও সিস্টেমের প্রাণ হলো এর এমপ্লিফায়ার সার্কিট। তৈরী করবার পদ্ধতির উপর এর বিভিন্ন প্রকার ভেদ আছে। এই প্রকারভেদ মুলত এর দক্ষতা ও তৈরীর কৌশলের উপর নির্ভর করে। ক্লাশ এ , বি , সি , ডি ইত্যাদি নামে এইগুলোকে চিহ্নিত করা হয়। আমাদের এতটা গভীরে যাওয়া লাগবে না আলোচনার। জানবার ইচ্চা থাকরে ধীরে ধীরে নিজেই জেনে নিতে পারবেন। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরী করা ভাল মানের এমপ্লিফায়ার তৈরী করবার আইসি পাওয়া যায়। যা মানসম্মত শব্দ (হাইফাই সহ) উৎপাদন করতে পারে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও বেশী ক্ষমতার (৫০ ওয়াটের বেশী) এমপ্লিফায়ার তৈরীর জন্য ট্রানসিস্টর বা মসফেট দ্বারা তৈরী সার্কিট ব্যবহার করা হয়। গাড়িতে ব্যবহার করবার জন্য ১২-১৪ ভোল্ট ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্টে চালানোর উপযোগী সার্কিট সাধারণত ব্যবহার করা হয়। TDA সিরিজের আইসি নির্মিত এমপ্লিফায়ার গাড়িতে ব্যবহার করবার জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় দামে সস্তা ও দামের অনুপাতে শব্দের মানের উৎকর্ষতার জন্য। 

শব্দ কানের শুনবার উপযোগী করবার জন্য ড্রাইভার বা স্পীকার ব্যবহার করা হয়। এমপ্লিফায়ার যত ওয়াটের হবে তার চেয়ে কমপক্ষে ২০% বেশী ওয়াটেরস্পীকার ব্যবহার করা উচিৎ। এতে করে শব্দের মান ভাল হয়। সস্তা ভারতিয় বা নকল চায়নীজ স্পীকার ব্যবহার না করাই ভাল যদি আপনি ভাল একটি অডিও সিস্টেম চান। একটি অডিও সিস্টেমের মোট দামের প্রায় ৪০% এর ড্রাইভারের পিছনে ব্যয় হবে আপনার। আর ৩০-৪০% এর পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য। বুঝতেই পারছেন এখন মুল এমপ্লিফায়ারকে চারানোর জন্যই বড় আয়োজন লাগবে। 

মোটামুটি একটা ধারণা পেলেন আশা করছি। আমি ধারাবাহিক ভাবেই লিখব -ধীরে ধীরে গভীরে :)

ছবি
সেকশনঃ প্রযুক্তি
লিখেছেনঃ দুরন্ত.. তারিখঃ 21/08/2015
সর্বমোট 11486 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন