ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

মুক্তচিন্তার পার্টি!!


 
বছরের বেশীর ভাগ সময়ই আমাদের ব্লগ পরিচালক মহাশয় ঘুমাইয়ে কাটান। আমরা কতিপয় অসহায় বল্গার তীর্থের কাউয়ার লাহান তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি, কিন্তু তেনার দেখা মেলে না আর। মাঝে মধ্যে ঘুম ভাঙলে উলু-ঢুলু চোক্ষে দু-একবার উঁকিঝুঁকি মারেন বল্গের উডানে। কিছুদিন আগে পরিচালক মহাশয় একবার খালি হাতে-মুখে পার্টি দিয়াছিলেন। সবাই আশা করেছিলেন পার্টিতে নিদেন পক্ষে বাতাসা হলেও থাকপে! কিন্তু তিনি আমাদের হতাশ করিয়াছেন। তবে এইবার জোরেশোরে উদ্যোগ নিয়াছেন- মহা ধুমধাম এক মহাপার্টি হইবে। বুড়িগঙায়। সব বল্গারগো লইয়া ময়ূরপঙ্ক্ষী সাম্পান ভাসানো হইবে আইজ সন্ধ্যায়। বল্গাররা সবাই আজ মহাব্যস্ত, উৎসবের আমেজ ছুটিয়া আসিতেছে সবাই।   

বিজয় সরণীর সিগন্যালে প্রায় একঘন্টা অপেক্ষার পর অবশেষে ত্যাক্ত-বিরক্ত হইয়া যুক্তিযুক্ত মহাশয় নিজেই ট্রাফিকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হইলেন। চার রাস্তার মাঝখানে দাঁড়াইয়া চার হাত-পা ছোড়াছুড়ি করিয়া বিশেষ ভঙিমায় নানান তাল-মুদ্রায় রাস্তার যানবাহনের পাশাপাশি হাতি-ঘোড়ার বহরকেও সামলাইতে লাগিলেন! হঠাৎ একটি গাড়ির দিকে দৃষ্টি পড়িতেই থমকাইয়া দাঁড়াইলেন তিনি। গাড়ির সামনের আরোহীর আসনে বসা চুপকথা! তিনি নিমেষেই তাল-মুদ্রা হারাইয়া হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করিয়া সম্মোহিতের মত সেদিকেই আগাইয়া গ্যালেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চার দিক থেকে হাতি-ঘোড়া-গাড়ি এলোপাথারিভাবে ছোটাছোটি করিয়া মহা হুলুস্থূল কাণ্ড!
 
সব্যসাচী বল্গার অনিমেষ রহমান মানিক মিয়ার জারুল –সোনাঝুরি গুনিতে গুনিতে সফেদ বেন্সন হাতে মনের সুখে চলিতেছিলেন ফার্মগেট অভিমুখে। পথিমধ্যে তাহার ভাগিনা নুরু আসিয়া হাজির। বলিল- মামা, আমারেও লইয়া চলেন। আমার অনেকদিনের বাসনা একটা পার্টিতে যামু। কি আর করা! নরম দিলের অনিমেষ মহাশয় ভাগিনাসমেত চলিতে লাগিলেন। ফার্মগেট আসিয়া তো তাহার চক্ষুস্থির! হাতি-ঘোড়ার বিশাল বহর লইয়া ব্যান্ড বাজাইয়া মহাসুখে চলিতেছেন সত্যভাষী বল্গার আমি বাঙ্গাল মহাশয়। যিনি কিছুক্ষণ আগে বিজয় সরণীর মোড় হইতে যুক্তিযুক্ত মহাশয়কে উদ্ধার করিয়া সাথে লইয়া আসিয়াছেন।
 
বল্গের মহাপার্টির খবর শুনিয়া উড়াল জাহাজের ছাড়পত্র না পাইয়া মামা-ভাগিনা খ্যাত মহাকবি জটিল বাক্য-সত্যাদর্শ সত্যজিৎ বাবু নাদিয়া ভাবীসহ চাটগাঁ হইতে স্ক্যানিয়াতে চাপিয়া বসিলেন। সারাদিনের মহাযাত্রা যেন আর শ্যাষ হয় না। ঢাকা-চাটগাঁ রাস্তার মিনি পাহাড়-পর্বত পার হইয়া কচ্ছপের গতিতে ঢাকা অভিমুখে চলিতে লাগিলেন। অতঃপর দুই মহানদী মেঘনা আর গমতি’র মাঝখানে আসিয়া লটকাইয়া রহিলেন। ভাগিনা অতিশয় চিন্তিত হইয়া কহিলেন,
-মামুজি, সন্ধ্যা যে হইয়ে গ্যালো! এইবার কি হইবেক?
মামা কহিলেন- ধৈর্য্য ধর বাছা, সব ঠিক হইয়া যাইবেক।  
 
ওদিকে হয়েছে আরেক কান্ড! আমাদের সোনাকবি দুরা ঠাকুর মহাখুশিতে তাহার সাধের বাইকখানা লইয়া ছুটিয়া চলিতেছিলেন বুড়িগঙা অভিমুখে। কিন্তু বিধি বাম! পথিমধ্যে চাকা পাঙচার! এখন কি হপে? ওদিকে দুরা ঠাকুরের বিলম্ব দেখিয়া তাহার বালিকা বন্ধু “সোনা” তো মহা ক্ষ্যাপা! সাথে সাথে মুঠোফোনে মহা হুঙ্কার!! দুরা ঠাকুর এখন কি করিবে??
 
স্বপ্নদ্রষ্টা কবি স্বপ্নের কারিগর ইট-কাঠ-পাথরের খটখাটানি হইতে মুক্তির স্বাদ লইতে আর উন্মুক্ত হাওয়ার গন্ধ পাইয়া খুশিতে উড়িয়া চলিলেন বুড়িগঙা অভিমুখে। কবি রিপাকে খবর দিতেই ভুলিলেন না। অতঃপর কবি রিপা তাহার গমক হইতে বাদ্যযন্ত্র সমেত একখানা টমটম ভাড়া করিয়া ঢাকার রাজপথে খট-খটাখট শব্দ তুলিয়া মহা-আনন্দে চলিলেন বুড়িগঙার দিকে।


ইহা একটি ফাঁকিবাজি পুষ্ট। আমার ফাঁকিবাজি শ্যাষ। পরের অংশ সম্পন্ন করার দায়িত্ব বিশিষ্ট বল্গার যুক্তিযুক্ত’র উপর ন্যাস্ত করা হইল।
 
(কমেন্টের ঘরে লেখা দিলে তাহা মূল লেখার সাথে যোগ করিয়া দেওয়া হইবেক। )

ছবি
সেকশনঃ কৌতুক
লিখেছেনঃ নিভৃত স্বপ্নচারী তারিখঃ 31/10/2014
সর্বমোট 20934 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন