ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১১)

পর্ব উৎসর্গঃ  স্বপ্নের কারিগর  ও  সাকিয়া রিপা

জুলিয়ান ফ্রান্সিস, বৃটেন

Julian Fransis-3.jpg

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ থাকেন জাঁকজমকপূর্ণ জীবনের জৌলুসের প্রতি যাদের বিন্দুমাত্র টান থাকেনা, এরা সবসময়ই মানুষের কল্যাণে কিছু করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকেন। এমন মানুষ যদিও বিরল তবুও মানবতার মহাক্রান্তিকালে এই ধরনের কিছু মানুষ ঠিকই জুটে যায়। তাঁদের দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে! তেমনই একজন মানুষ জুলিয়ান ফ্রান্সিস। জন্মসূত্রে বৃটিশ নাগরিক। জন্ম ২৯শে এপ্রিল ১৯৪৫। দক্ষিন-পশ্চিম লন্ডনে শৈশব কাটানো জুলিয়ান ছেলেবেলা থেকেই স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৮ সালে গ্রামাঞ্চলে কাজ করার জন্য অক্সফামের একজন হয়ে চলে এলেন ভারতে। সেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। মানুষের জন্য কাজ করার জন্য যার জন্ম সে কি আর চুপ থাকতে পারে! ঝাপিয়ে পড়লেন এদেশের শরনার্থীদের সেবার কাজে।

ঊনিশ শ একাত্তর। তৎকালীন পুর্ব বাংলায় চলছে ভয়াভহ হত্যাযজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তের দিকে ছুটে চলেছে হাজার হাজার শরনার্থী। সংখ্যায় তারা এত বেশি যে গুনে শেষ করা যাবে না, তবুও গুনে সংখ্যা বোঝার চেষ্টা করছিলেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অক্সফামের তখনকার তরুণ স্বেচ্ছাসেবক জুলিয়ান ফ্রান্সিস। প্রতি মিনিটে একশরও বেশি! অক্সফামের শরণার্থী ত্রাণ কার্যক্রমের কলকাতার দায়িত্ব পাওয়া জুলিয়ানের কাছে সদর দপ্তর থেকে শরণার্থীরা সংখ্যা জানতে চাওয়া হলে মোটামোটি একটি হিসেব করে জুলিয়ান যে সংখ্যাটি জানালেন তা ছিল প্রতিদিন গড়ে ‘ত্রিশ হাজারের মত’। সংখ্যাটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হল না দপ্তরের কাছে, তারা ভাবল অতিরিক্ত গরমে নিশ্চয়ই জুলিয়ানের মাথা খারাপ হয়ে গেছে! কিন্তু জুলিয়ানের হিসেবটা যে ভুল না তা বোঝা গেল কিছুদিনের মধ্যেই। দিনে দিনে এই এই শরনার্থীর সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেল যে সামাল দেয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ালো। কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বনগাঁও- সর্বত্রই শুধু শরনার্থী আর শরনার্থী! মাত্র কয়েকদিন আগেও পূর্ব বাংলায় যারা ছিল সচ্ছল গৃহস্থ রাতারাতি তারাই বনে গেল উদ্বাস্তু।

Julian Fransis-2_0.jpg

অবস্থা আরও খারাপ আকার ধারণ করলো যখন এই শরনার্থী শিবিরগুলিতে হানা দিল কলেরা আর ডায়রিয়া। যখন মানুষ মরতে শুরু করলো অগনিত হারে জুলিয়ান আর বসে থাকতে পারলেন না, ঝাপিয়ে পড়লেন নিজেই। লাশের সংখ্যা দেখে দিশেহারা সবাই, লোকবলের অভাব, সৎকারের জন্য চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর সাহায্য কিন্তু সময়মত আসছে না সাহায্য। একসময় জুলিয়ান নিজেই নেমে পড়লেন লাশ সৎকারের কাজে! একাত্তরে শরণার্থী শিবিরগুলিতে কাজ করার অনেক স্মৃতি আজও তাঁকে তাড়া করে ফেরে। সেইসময় শরনার্থীদের জন্য খাবার এবং চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি তাদের মানষিকভাবে চাঙ্গা করার জন্য তিনি সেখানে নানান ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু করেন। এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সিস বলেন- 'সীমান্ত পার হয়ে যারা শরণার্থী ক্যাম্পে আসছেন, তাঁদের চোখ-মুখের দিকে তাকিয়ে একটা জিনিস খেয়াল করি, পেছনে কোনো ভয়াবহ স্মৃতি ফেলে এসেছেন তাঁরা। এই ভয়াল স্মৃতি তাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে সারাক্ষণ। তাই শুধু খাদ্য ও চিকিৎসা দিয়ে এঁদের বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। এর জন্য চাই মানসিক প্রশান্তি আর উদ্দীপনা। এ জন্য শরণার্থী ক্যাম্পে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু করার ব্যবস্থা করা হয়। কেনা হয় বেশ কিছু হারমোনিয়াম আর তবলা। মাস শেষে হেড অফিসে যে রিপোর্ট পাঠাই তাতে হারমোনিয়াম ও তবলা বাবদ ব্যয় দেখে আমাকে নানা প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমি তাদের বোঝাতে তখন গলদঘর্ম হয়েছিলাম। আসলে আমাদের মেডিক্যাল টিম তখন খাদ্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু করে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।'

জুলিয়ানের নিজের বয়ান থেকে জানা যায় একাত্তরের জুন মাসের একটি ঘটনা, শরনার্থীদের জন্য আসা ত্রাণসামগ্রী খালাস করতে তিনি গেছেন দমদম বিমানবন্দরে। কিন্তু সেখানকার কাস্টমস কর্মকর্তারা বিনাশুল্কে মালামাল রিলিজ করতে কিছুতেই রাজী হচ্ছিল না। দীর্ঘসময় ধরে অনেক বোঝানোর পরও তারা রাজী না হওয়াতে তিনি যখন রেগেমেগে আগুন তখনই একজন এসে তার হাত ধরলেন, স্বয়ং মাদার তেরেসাকে দেখে চমকে উঠলেন তিনি। এরপর অবশ্য ত্রাণসামগ্রী রিলিজ পেতে আর সমস্যা হয়নি। সে সময় বলতে গেলে মাদার এবং জুলিয়ান একসাথে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন! প্রায় প্রতিদিনই মাদার তাকে ফোন দিয়ে বলতেন- গড ব্লেস ইউ জুলিয়ান।

টেস্টিমনি অব সিক্সটি –

Testimony of Sixty.jpg

একাত্তরের ২১শে অক্টোবর দিনটি স্মরনীয় হয়ে থাকবে আরও একটি কারণে, সেটি হল একাত্তরের এই দিনে প্রকাশিত হয়েছিল ‘টেস্টিমনি অব সিক্সটি’ অর্থাৎ ষাট জনের স্বাক্ষর। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া অবর্ননীয় মানবিক সংকটের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই মূলত প্রকাশ করা হয়েছিল এই সংকলন। একাত্তরে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের অসহায়ত্ব, দুর্দশা আর পূর্ব বাংলায় সংঘটিত নির্বিচারে গনহত্যা বন্ধ করার আবদেন জানিয়ে এডওয়ার্ড কেনেডি, মাদার তেরেসা, ডেইলি মিররের সাংবাদিক জন পিলজার, সানডে টাইমসের আলোকচিত্রী পিটার ডান, মাইকেল ব্রানসন, ক্লেয়ার হেলিংওয়ার্থ সহ বিশ্ব বিখ্যাত ৬০ জন মানুষের লেখা নিয়ে ‘টেস্টিমনি অব সিক্সটি’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ করেছিল অক্সফাম, আর এর জন্য নেপথ্যে যে মানুষটি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তিনি হলেন জুলিয়ান ফ্রান্সিস।

টেস্টিমনি অব সিক্সটি তৈরীতে লেখা সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব এসে পড়ে জুলিয়ানের কাঁধে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিরলসভাবে কাজ করেন তিনি। সাক্ষ্যগুলো সংগ্রহ করে পাঠাতে থাকেন ব্রিটেনে আর এই পাঠানোর কাজে ভরসা ছিল টেলিগ্রাফ মেশিন। অনেক পরিশ্রমের পর অবশেষে অক্টোবরে এসে আলোর মুখ দেখল টেস্টিমনি অব সিক্সটি। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে টেস্টিমনি অব সিক্সটি বিলি করা হলো, সারা বিশ্ব জানল পূর্ব পাকিস্তানের দুঃখ-দুর্দশার শিকার নিপীড়িত মানুষের কথা। নড়েচড়ে উঠলো বিশ্ব বিবেক। পরবর্তীতে এই সংকলনটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের বিষয়ে বিশ্ব জনমত গঠনে এই সংকলনটি যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিলো।
‘টেস্টিমনি অব সিক্সটি’ এর অনলাইন কপি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

আমাদের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার বাংলাদেশে পা রাখেন জুলিয়ান ফ্রান্সিস। সেই যে বাংলাদেশের মায়ায় জড়িয়ে গেলেন তারপর থেকে নিজ ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই দেশটাকেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত থেকে বাংলাদেশের শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য কাজ করা শুরু করেছিলেন, আজও তাদের পাশেই আছেন। কাজ করছেন চরাঞ্চলের মানুষের জন্য। তিনি বর্তমানে ডিএফআইডির সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশের চরাঞ্চলের জীবনযাত্রা কর্মসূচি প্রকল্প ও বাস্তবায়ন বিষয়ক উপদেষ্টা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আজও তিনি যমুনা ও তিস্তা নদীর অববাহিকার হতদরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্যালুট জানাই বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধুকে।

-এই লেখাটির তথ্যের জন্য কৃতজ্ঞতাঃ আব্দুল খালেক ফারুক ও ইকবাল হোসাইন চৌধুরী।

ভ্যালেরি টেইলর

Velory Tailor.jpg

জুলিয়ান ফ্রান্সিসের কথা লিখতে গিয়েই আরেকজন মানুষের কথা মনে পড়ে গেল, যিনিও তার নিজের গোটা জীবনটাই পার করে দিলেন মানবতার সেবায়। তিনি ভ্যালেরি এ টেইলর। জন্ম ১৯৪৪ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী ইংল্যান্ডের ব্রুকলিন শহরে। লেখাপড়া করেছেন লন্ডনে। লন্ডনস্থ এসসি হসপিটাল থেকে ফিজিওথেরাপির ওপর তিন বছরের প্রশিক্ষণ শেষে লন্ডনেই দুই বছর কাজ করেন। তারপর ১৯৬৯ সালে ভলান্টারী সার্ভিস ওভারসিজ (ভিএসও) নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন, কাজ শুরু করেন চট্টগ্রামের কাছে চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টান হাসপাতালে। এরপর এলো সেই উত্তাল একাত্তর। ইয়াহিয়া বাহিনী ২৫শে মার্চের কালোরাতের আগেই সকল বিদেশীদের এদেশ ছেড়ে যাওয়ায় নির্দেশ দিলে তিনি ফিরে যেতে বাধ্য হন।

মানুষের সেবা করার মহৎ ব্রত যার অন্তরে তিনি কি মানুষের বিপদে চুপ থাকতে পারেন! আবার চলে এলেন এদেশে যুদ্ধ শেষ হবার আগেই। একাত্তরের সেপ্টেম্বরে যুদ্ধের টালমাটাল অবস্থার মধ্যে এলেন, বাংলাদেশের সেই সংকটাপন্ন সময়ে তার কাজ যেন বেড়ে যায় বহুগুন! যুদ্ধে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল উল্লেখযোগ্য হারে। যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চরম প্রয়োজনীয় মূহুর্তে তাদের প্রতি বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অনেক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসার জন্য হসপিটালে ভর্তি। সে রকম একটি সময়ে, ১৯৭২ সালে ঢাকাস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট কাজ শুরু করেন ভ্যালেরি। দেশ স্বাধীন হবার পরও দুই বছর এদেশে কাজ করে আবার ফিরে যান ইংল্যান্ডে। মনে স্বপ্ন বাংলাদেশে একটি স্বার্থক ফিজিওথেরাপি সংগঠন গড়ে তোলা। তিনি ফিরে গেলেন, মানবতার সেবায় তার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করে আবার ফিরে এলেন ১৯৭৫ এ।

Valery - 2.jpg

বাংলাদেশে আসার পর কেটে যায় আরও চারটি বছর। ১৯৭৯ সালে অনেক প্রচেস্টার পর সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে দুটি পরিত্যক্ত গুদাম ঘর পান, সেখানেই তিনি শুরু করেন তার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ। প্রথমে খুব ছোট আকারে প্রতিষ্ঠা করেন ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরপি (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড)। পরবর্তীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য। সাইকেলে চেপে অনেক গঞ্জনা সহ্য করে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহায্যের জন্য। তাঁর এই দুর্বার প্রচেষ্টার ফলে একসময় দাঁড়িয়ে যায় সংগঠনটি।

১৯৯০ সালে তিনি গড়ে তোলেন সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়, ঢাকার আদূরে সাভারের চাপাইনে প্রায় ১৪ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এ প্রতিষ্ঠান। সেখানে একশ শয্যার হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপি সেবা। সেখানকার বহির্বিভাগে প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বর্তমানে মিরপুরের ১৪ নম্বরেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সিআরপি’র নিজস্ব শাখা।

ভাল কাজের স্বীকৃতি অবশ্যই মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। অসহায় মানুষের সেবায় নিয়োজিত এই মানুষটি অবশ্য তাঁর কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। মানবতার সেবার জন্য ১৯৯৫ সালে বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৯৬ সালে অর্জন করেন ‘আর্থার আয়ার স্বর্ণপদক’, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের জনমানুষের স্বাস্থ্যসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। তাঁকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাধীনতা পদকও প্রদান করা হয় ২০০৪ সালে। অনেকেই তাঁকে সম্ভাষণ করেন বাংলাদেশের মাদার তেরেসা বলে। সশ্রদ্ধ স্যালুট এই মহিয়সী নারীকে।

তথ্যসূত্রঃ উইকি, নিউজ-বাংলা ডট কম

চলবে..

একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-২)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৩)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৪)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৫)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৬)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৭)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৮)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-৯)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১০)

ছবি
সেকশনঃ মুক্তিযুদ্ধ
লিখেছেনঃ নিভৃত স্বপ্নচারী তারিখঃ 22/08/2013
সর্বমোট 2414 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ