❝সে বড় কষ্ট আর দুর্যোগের সময় ছিল রে ভাই।❞ কিংবা
❝রাতটা ছিলো ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নের মতো। তখন আনুমানিক রাত বারোটার কাছাকাছি হবে। আমরা কেবল ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে চমকে উঠলাম। গোলাগুলির শব্দ, মুহুর্মুহু ভেসে আসছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝলাম গুলির শব্দগুলো পুলিশ লাইনের দিক থেকেই আসছে। গুড়ুম! গুড়ুম! কেঁপে কেঁপে উঠছিলো আমাদের ঘর। মেশিনগান আর কামানের আওয়াজ সব। মনে হচ্ছিলো আকাশ ভেঙে পড়বে ঘরের উপর।❞
এমন দুঃস্বপ্নময় মুহূর্তগুলো ছিলো একাত্তরের বাস্তবতা। ❝ফেরা❞ উপন্যাসের পটভূমি মূলত একাত্তরের সূচনালগ্ন থেকে প্রথম দুই সপ্তাহ।
********
আসছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ –এ আমি উপস্থিত থাকছি নতুন দু’টি প্রকাশনা নিয়ে। ❝চিরদিন প্রকাশনী❞ থেকে এ বছর প্রকাশিত হচ্ছে আমার দু’টি একক গ্রন্থ- একটি উপন্যাস ❝ফেরা❞ এবং অন্যটি গল্প সংকলন ❝নৈঃশব্দ্যের নিনাদ❞।
মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিতে লেখা ❝ফেরা❞ উপন্যাসের সূচনা মূলত পঁচিশে মার্চ ঊনিশ’শ একাত্তরের কালরাতের ঘটনাবলী থেকে। তারপর সময়ের সাথে সাথে বদলে যায় দৃশ্যপট। ঢাকা থেকে পলায়নপর মানুষের কাহিনী- ❝ফেরা❞। আমার সীমিত জ্ঞান ও মেধার সমন্বয়ে আমি চেষ্টা করেছি সেই সময়ের বাস্তবতা তুলে ধরতে। পাঠকের ভালো লাগলেই আমার এই প্রচেষ্টা সার্থক।
❝নৈঃশব্দ্যের নিনাদ❞ বইটি মূলত একটি গল্প সংকলন গ্রন্থ। মোট এগারোটি ভিন্ন স্বাদের গল্প স্থান পেয়েছে বইটিতে। আমি চেষ্টা করেছি আমাদের চারিপাশের মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ও মনোজগতের বিচিত্র সব অনুভূতিগুলোকে গল্পাকারে তুলে ধরতে। পাঠকের ভালো লাগলে আমার এই প্রচেষ্টা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।
সেইসাথে যথারীতি থাকছে পূর্বে প্রকাশিত আমার দু’টি গ্রন্থ ❝একাত্তরের বিদেশি সুহৃদঃ দুঃসময়ের সারথি❞ এবং উপন্যাস ❝ধূসর গোধূলি❞।
বইগুলো একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩-এ
প্রকাশনীর ৩৮৩ নং স্টলে পাওয়া যাবে। সবাইকে আসন্ন বইমেলায় স্বাগতম।
বই কিনুন। নিজে পড়ুন এবং প্রিয়জনকে উপহার দিন। সবার জন্য শুভকামনা।