ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১৪)

পর্ব উৎসর্গঃ সত্যজিৎ দাশ  ও   হাহা

জ্যোতি বসু

Jyoti_Basu.jpg

কমরেড জ্যোতি বসু শুধু ভারতে নয় এই উপমহাদেশের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতা ১৯১৪ সালের ৮ই জুলাই কলকাতার হ্যারিসন রোডের একটি শিক্ষিত উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা নিশিকান্ত বসু ছিলেন একজন চিকিৎসক। ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স শেষে বিলাত থেকে ব্যরিস্টার হয়ে দেশে ফিরে ব্যরিস্টারী না করে যোগ দিলেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। মানুষের প্রতি তাঁর কর্তব্যবোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বর্নাঢ্য কর্মজীবন তাঁকে এক অনন্য স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে।

১৯৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল জ্যোতি বসুর। পাকিস্তানের সাথে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সিপিআই(এম) এর জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানো অতটা সহজ ছিলনা, কিন্তু জ্যোতি বসুর বিচক্ষণতা, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ দলটিকে শুধু বাংলাদেশের পক্ষেই দাঁড় করায়নি, সেই সাথে যুদ্ধ জয়ে সব ধরনের সহায়তা প্রদানেও জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশের প্রতি আপরিসীম মমতার কারণেই এদেশের মানুষকেও ভালবাসতেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল বাংলাদেশের সোনারগাঁর বারদীতে। তাইতো এদেশের সাথে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক।

একাত্তরের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় দেয়া ভাষনের একটি অংশে তিনি বলেন-“ এটা আমরা জানি, পৃথিবীকেও জানতে হবে যে, এই পাকিস্তান টুকরো টুকরো হচ্ছে তাঁর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী হছে ওখানকার মিলিটারি শাসকগোষ্ঠী, ঐ ইয়াহিয়া গোষ্ঠী। বহুদিন ধরে তারা এরকম করছে। তারা গনতন্ত্র চায় না এবং এজন্যই পাকিস্তান টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। কারণ একটা অংশ এবং তারাই হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ- সে অংশের মানুষের সমান্যতম অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার; তাঁদের ভাষার অধিকার, তাঁদের অন্যান্য যেসব বিষয়ে অধিকার আছে, সেগুলো যদি না মানেন কোন সরকার- স্বৈরাচারী সরকার, সেই শাসকগোষ্ঠী, যারা সেখানে মুষ্টিমেয়র প্রতিনিধিত্ব করছেন, তা হলে এটা কি আশা করা যায় যে, এক হয়ে সে দেশ এইভাবে থাকতে পারে! সেইজন্য আমরা মনে করি পৃথিবীর সমস্ত গনতান্ত্রিক মানুষ যতই তাঁরা এই ঘটনা বুঝবেন ততই বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামকে তাঁরা সমর্থন করবেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মানুসসহ।“

একাত্তরের জুন মাসে কোলকাতার বেলেঘাটার একটি স্কুলে বেশ কিছু বাম সংগঠন একটি সম্মেলন করেন, যেখানে গঠন করা হয় ‘বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’। এই সংগঠনটি এদেশে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। এঁদের ১৪টি সশস্ত্র গেরিলা ঘাঁটি ছিল যারা স্বতন্ত্রভাবে যুদ্ধ করেছে। সিপিআই(এম) আর্থিকভাবেও যথেষ্ট সহায়তা করেছিল।
২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারী পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চিরবিদায় নেন বাংলাদেশের এই মহান সুহৃদ। বাংলাদেশের মানুষ চিরদিন তাকে মনে রাখবে।

রবার্ট পেইন

Robert Payne.jpg

পিয়েরে স্টেফেন রবার্ট পেইন। জন্ম ১৯১১ সালের ৪ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের কর্ণওয়ালে। তিনি একাধারে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, নৌ স্থাপতি, ঔপন্যাসিক, ইতিহাসবিদ কবি এবং গবেষক ছিলেন। একাত্তরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী তাঁকে আলোড়িত করেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হল-

রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সর্ম্পকে লিখেছেন, “সে রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার হলো আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট লুট আর ধ্বংস তাদের নেশায় পরিণত হলো যেন। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক- শেয়ালের খাবারে পরিনত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।”

Massacre - Robert Payne.jpg

পেইন তার ম্যাসাকার (পৃ. ৫০) ফেব্রুয়ারিতে ইয়াহিয়ার একটি দম্ভোক্তির উল্লেখ করেছেন : "Kill three million of them," said President Yahya Khan at the February conference, "and the rest will eat out of our hands."

পেইন তার ম্যাসাকার গ্রন্থে একজায়গায় লিখেছেন, “ধর্মান্ধ ছাত্রদের নিয়ে গোপনে তৈরি হলো আলবদর বাহিনী। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের গোপনে হত্যার চক্রান্ত করে। শুধু চক্রান্তই নয়, আলবদররা এই সব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। একই উদ্দেশ্য নিয়ে সে সময় আরও একটি বাহিনী তৈরি করা হয়। এর নাম ছিল আলশামস।’ রবার্ট পেইন আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনের ধর্মান্ধ মানুষগুলোকে নিয়ে ধর্মরক্ষার নামে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ গোপনে গঠন করেছিল এ বাহিনী। এদের বিশ্বস্ত সহযোগিতায় আরও হত্যায় বিষাদক্লিষ্ট হয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। এরা আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরা বা হত্যা করার ব্যাপারে পাকিস্তানি সৈন্যদের ব্যাপক সহযোগিতা করেছিল।“

তিনি আরেক জায়গায় বলেন, “নিউ ইয়র্ক টাইমসে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি এক বিশেষ প্রতিবেদনে আলবদর বাহিনীকে উগ্র মুসলিমদের একটি গোপন কমান্ডো ধরনের সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের একটি বিশেষ দল এ বাহিনীকে প্রশিণ দিত এবং পরিচালনা করত। ওই সেনা কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন ক্যাপ্টেন তাহির। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডেস্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাওয়া যায়। একটি নোটে লেখা ছিল, ‘ক্যাপ্টেন তাহির, ভেহিকল ফর আলবদর’ এবং ‘ইউজ অব আলবদর’।“
টিক্কা খান সম্পর্কে তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে যে পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞটি ঘটানো হয়েছে তাঁর আদেশটি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছ থেকে এলেও এর ধারক-বাহক ছিলেন লেঃ জেনারেল টিক্কা খান। ২৫শে মার্চ রাতে টিক্কা খান যখন ঢাকা ছেড়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান সেই সময় সেই সময় ইয়াহিয়া খানের উক্তি ছিল- “বিদ্রোহী মানুষগুলোকে শেষ করে ফেলুন”। অত্যন্ত বিশ্বস্ততায় প্রের ছ’টি মাস ধরে টিক্কা খান এই আদেশটি পালন করে গেছেন।
১৯৮৩ সালের ৩রা মার্চ মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশের এই মহান সুহৃদ।

এন্ডমন্ড মাস্কি

Edmund_Muskie.jpg

এন্ডমন্ড মাস্কি একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ, জন্ম ২৮শে মার্চ ১৯১৪। ১৯৭১ সালে তিনি আমেরিকান সিনেটের মেম্বার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। একাত্তরে পূর্ববাংলায় গণহত্যায় আমেরিকার ভূমিকার ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করে পূর্ব বাংলার মানুষের দুর্ভোগ শেষ করতে ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে চাপ দেন, এ লক্ষ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে তার চার দফা বাস্তবায়নের আহবান জানান-
১। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সেনা প্রত্যাহার।
২। পূর্ব বাংলা থেকে অবিলম্বে ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তানে সেনা প্রত্যাহার এবং শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য
জাতিসংঘ শান্তিসেনা মোতায়েন; তারা একই সঙ্গে শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও ত্রাণ তত্পরতা পরিচালনা করবে।
৩। পশ্চিম পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অবিলম্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি ও অন্যদের নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল লিডারশিপ গ্রুপ তৈরি করবে।
৪। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিনিধি বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপের বাইরে সমান অবদান থেকে দুই সত্তা পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করবে।

জনাব মাস্কি পূর্ব পাকিস্তান প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,

প্রেসিডেন্ট নিক্সন যখন আমেরিকার ‘চরম নিরপেক্ষতা’র কথা বলছেন তখন পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব বাংলায় চালাচ্ছে বিরামহীন ধ্বংসযজ্ঞ আর আমেরিকার বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজে বোঝাই করা হচ্ছে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ।
তিনি আরও প্রশ্ন তুলে বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান যখন পূর্ব বাংলায় গণহত্যা চালিয়ে গেল এবং ভারতে আশ্রয় নিল প্রায় এক কোটি শরণার্থী, তখনো আমরা পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করা বন্ধ করতে পারলাম না -এটা কি চরম নিরপেক্ষতা? তিনি বলেন, ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র যখন ভারতকে ‘আগ্রাসী’ বলল, সেটা কি চরম নিরপেক্ষতা? পশ্চিম পাকিস্তানে সাহায্য বহাল রেখে ভারত থেকে প্রত্যাহার করা কি চরম নিরপেক্ষতা? আমরা মুখে কেবল যুদ্ধ বিরতির কথা বলব অথচ সেনাবাহিনী পূর্ব বাংলায় কি করেছে সেটা ভুলে যাব তা কি চরম নিরপেক্ষতা? আসল সমস্যা পূর্ব বাংলার ভবিষ্যত্, সেখানকার মানুষ যদি একটি নিশ্চিত ও ন্যায্য ভবিষ্যত্ দেখতে না পায় তাহলে এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার নয়।

আসগর খান

Asghar-Khan-1.jpg

তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তানের তাহরিক-ই ইস্তেকলাল পার্টির প্রধান এয়ার মার্শাল (অবঃ) আসগর খান পশ্চিম পাকিস্তানের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও একাত্তরে প্রকাশ্যে পূর্ব পাকিস্তানে সংগঠিত হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা করেছিলেন। একাত্তরের ৪ঠা মার্চ করাচি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একটি বক্তব্য দেন, যা ৫ মার্চ করাচির দ্য ডন-এ প্রকাশিত হয়। যে বিষয়গুলোর উপর তিনি জোর দিয়েছিলেন তার উল্লেখযোগ্য অংশের অনুবাদ এখানে তুলে ধরা হলো-
-‘বিপর্যয়ের কাছাকাছি’ যে পরিস্থিতিতে দেশ পৌঁছেছে সেখান থেকে ফিরে আসতে হলে অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
-জাতীয় অখণ্ডতা ও সংহতি রক্ষার্থে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উচিৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শেখ মুজিবুর রহমানকে ডেকে তার হাতে প্রকৃত ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

-সংবিধান প্রণয়নের কাজে অপেক্ষা করা যেতে পারে। এখন সর্বাগ্রে করণীয় ক্ষমতা যেখানে যাওয়ার কথা, জাতীয় পরিষদের সেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা অর্পণ করা।
-পূর্ব পাকিস্তানে যা ঘটছে তাতে তিনি যেভাবে আঘাত পেয়েছেন তা প্রকাশ করেন ‘পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষের উপর এই আক্রমণ চালালে যেমন লাগত, পূর্ব পাকিস্তানের ভাইদের জন্য আমারও সেই অনুভূতি।’
-প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দিয়ে এখনই শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার গঠন করার জন্য ডাকা উচিত। আমার পূর্ব পাকিস্তানি ভাইদের সঙ্গে এমন আচরণ আমি আর দেখতে চাই না; পাকিস্তান ভেঙে টুকরো হয়ে যাক আমি তাও চাই না। তিনি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণকে বুঝতে হবে দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও হতাশায় পূর্ব পাকিস্তান এখন ধিকি ধিকি জ্বলছে। এখন ক্ষমতা তাদের বৈধ অধিকারে, সেই ক্ষমতা তাদের উপভোগ করতে এবং প্রয়োগ করতে দিতে হবে।
-যুক্তরাষ্ট্র তার বৈশ্বিক স্বার্থে পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে চাচ্ছে। আসগর খান বলেন, যদি পাকিস্তানের অর্ধেক ‘শেষ’ হয়ে যায় তাহলে পশ্চিম পাকিস্তানও একতাবদ্ধ ও অখণ্ড থাকবে না।
-ক্ষমতা দ্রুত হস্তান্তরের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান তো ২৩ বছর শাসন করেছে এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রচণ্ড ভুগেছে। এখন পূর্ব পাকিস্তান শাসন করবে, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে—তাতে পশ্চিম পাকিস্তানকে যদি একটু ভুগতে হয় ভুগবে।
-আসগর খান মনে করেন, একমাত্র ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্যেই সমগ্র জাতির পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মঙ্গল নিশ্চিত। তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ পূর্ব পাকিস্তানে খুন-খারাবির বিরুদ্ধে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যেকোনো ধরনের আত্মত্যাগের জন্য তিনি সম্মত। তিনি বলেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি’ করা হয়ে গেছে। যদি এখনই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা হয় তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সমর্থনে নতুন আন্দোলন শুরু করবেন। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, তারা হতাশ। তিনি ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন মানুষের ভোগান্তি সচক্ষে দেখতে।

আজকের পর্বটির জন্য কৃতজ্ঞতাঃ হায়দার আকবর খান, সোহরাব হাসান এবং প্রথম আলো

চলবে.....

একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)

একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১২)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১১)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১০)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-)


ছবি
সেকশনঃ মুক্তিযুদ্ধ
লিখেছেনঃ নিভৃত স্বপ্নচারী তারিখঃ 30/09/2013
সর্বমোট 2156 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ